ঘটনা অনেকটা বাজারে দুই সওদাগরের বড় মাছ কেনার মতো। কার আগে, কে বেশি দাম হাঁকিয়ে ঝোলাতে পুড়তে পারে। ব্যবসায়িক কেনাকাটার ক্ষেত্রে এখন এমনই অবস্থা প্রযুক্তি বিশ্বের দুই মহারথী ফেইসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ ও গুগলের প্রধান নির্বাহী ল্যারি পেজের মধ্যে।
দু’জনই যখন ঠিক করলেন প্রত্যন্ত ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছাতে কাছ করবেন, তখন তারা একই সঙ্গে নজর দিলেন সৌরশক্তিনির্ভর ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টাইটান অ্যারোস্পেসের দিকে। যদিও শেষ পর্যন্ত সোমবারের খবরে বলা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি কেনার দৌড়ে এগিয়ে গুগল।
কয়েকদিন আগে পর্যন্ত টাইটান কেনার জন্যও আলোচনা চালিয়েছিল ফেইসবুক। এর আগে মোব্ইল মেসেজিং প্রতিষ্ঠান হোয়াটঅ্যাপ কিনতে এ দুই জায়ান্ট চেষ্টা চালিয়েছিল। যদিও সেবার সফল হয় ফেইসবুক।
যদিও টাইটান কেনার বিষয়ে গুগল আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু বলেনি। দামের বিষয়েও রাখঢাক করছে টেক জায়ান্টটি। ফলে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও জানা যায়নি।
জুকারবার্গ ইন্টারনেট অর্গানাইজেশন প্রকল্পের জন্য অ্যারেস্পেসকে কিনতে চেয়েছিলেন। মার্চ পর্যন্ত এ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল যদিও শেষে অ্যাসেন্টা নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান কেনে ফেইসবুক।
অ্যারোস্পেসের তৈরি ড্রোন সৌরশক্তির সাহায্যে ৬৫ হাজার ফুট উঁচুতে টানা পাঁচ বছর উড়তে পারে। ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সুবিধা দিতে দারুণ কার্যকর এ ড্রোন। যা অনেকটা জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের মতো কাজ করে।
এ ড্রোনে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংযুক্ত করার মাধ্যমে এটির নেটওয়ার্কের মধ্যে ফিচার ফোনেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।
প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে গুগুলের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা দুর্গম এলাকায় কাজে লাগবে এ ড্রোন।
এ ছাড়া গুগলের ‘প্রজেক্ট লুন’ নামে একটি প্রকল্প রয়েছে, যেখানে টেক জায়ান্টটি বড় বেলুনের সাহায্যে ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ওয়াই-ফাই সুবিধা পৌঁছাবে। এমন স্থানে এসব ড্রোন কাজে লাগবে।