ফেসবুক থেকে কর্তৃত্ব শেষ হতে চলেছে কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গের? বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোশাল মিডিয়ার কয়েকজন শেয়ারহোল্ডার জাকারবার্গকে আর কম্পানির বোর্ড অব ডিরেক্টর্স-এ দেখতে চাইছেন না। সিইও হিসাবে মেয়াদ শেষের পরই এমনটা নাকি চাইছেন বিনিয়োগকারীরা।
এ বিষয়ে প্রস্তাবও তুলেছে কর্পোরেট ওয়াচডগ গ্রুপ সামঅবআস এর সদস্যরা। তারা আর ফেসবুকে জাকারবার্গকে দেখতে চাইছেন না। ভেঞ্চারবিটের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়। ফেসবুকে বোর্ড অব ডিরেক্টর্স এর চেয়ারপার্সন পদ থেকে জাকারবার্গকে সরাতে ৩ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ একটি পিটিশন ফাইল করেছেন। এই মানুষগুলোর মধ্যে মাত্র ১৫০০ জন শেয়ারহোল্ডার।
সামঅবআস জানায়, তারা এমন এক সংস্থা যাদের কাজ কোনো কর্পোরেশনের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা সীমার মধ্যে রাখা। তাদের প্রস্তাবে সংস্থার সদস্যরা একজন ‘স্বাধীন চেয়ারপার্সন’ এর কথা বলেছেন। যার কাজ হবে কম্পানির এক্সিকিউটিভদের যথাযথ দেখভাল করা। অংশীদারদের এজেন্ডাগুলোকে আরো সুষ্ঠুভাবে প্রতিষ্ঠা করার মানসিকতাও থাকতে হবে তার মাঝে।
প্রস্তাবে আরো বলা হয়, সিইও, বোর্ড এবং সাপোর্টের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের মূল্যমান বৃদ্ধি করার কাজটি একজন স্বাধীন চেয়ারপার্সনই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন এক ক্যাপিটাল স্ট্রাকচার গঠনের দিকেই বেশি মনোযোগ তাদের। ২০১৬ সালে এক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ফেসবুকের ক্লাস এ এর শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষমতা হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়।
এ ছাড়া ঝুঁকির ক্ষেত্রেও ফেসবুকের কর্পোরেট গভর্নেন্স স্কোর তুলে ধরা হয়। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি ফেসবুকের স্কোর ছিল ১০। এটা ঝুঁকি সর্বোচ্চ মাত্রায় বিরাজ করছে। এই স্কোর নির্ধারণ করে ইনস্টিটিউশনাল শেয়ারহোল্ডার সার্ভিসেস (আইএসএস)।
জাকারবার্গ ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। এ ছাড়া তিনি বোর্ড অব ডিরেক্টর্স এর চেয়ারপার্সন। ফেসবুকের শেয়ারের বিশাল এক অংশের মালিকও তিনি। সামঅবআস এর প্রস্তাবে বলা হয়, ফেসবুকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা দরকার। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস