বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ এনেছেন চট্টগ্রামের এক আইনজীবী। বুধবার রাতে গ্রামীণফোনের দেওয়া অফারে প্রতারণার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানায় মামলা করতে যান চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের আইনজীবী এইচ এম হাবিবুর রহমান। এতে তিনি গ্রামীণফোনের ১৪ কর্মকর্তাকে বিবাদী করেন। কিন্তু টেলিকমিউনিকেশন আইনের বাধ্যবাধকতার বিষয় উল্লেখ করে ইপিজেড থানার পুলিশ অভিযোগটি গ্রহণ করেনি। অভিযোগকারী জানান, এর আগে গত সোমবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিষয়টি অভিযোগ আকারে দেওয়া হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন আইনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এজাহার রেকর্ড করছে না পুলিশ। তিনি পুনরায় আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবুল মনসুর বৃহস্পতিবার বলেন, ‘যেহেতু এই সব মামলা গ্রহণের ক্ষমতা আমাদের নেই, সেহেতু তিনি টেলিযোগাযোগ কমিশনে অভিযোগ করলে ভালো হয়। তারা যদি আমাদের কাছে অভিযোগটি হস্তান্তর করে, তবেই আমরা তদন্ত করতে পারব। তখন মামলাও রেকর্ড করা হবে।’ এই বিষয়ে অভিযোগকারী এইচ এম হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে আমি কথা বলেছি এবং তিনি বলেছেন তারা সব থানায় মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ পাঠিয়েছেন। কিন্তু সিএমপির ইপিজেড থানার কর্মকর্তা এখানে নতুন এসেছেন এবং তিনি এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাননি বলে আমাকে জানিয়েছেন। যখনই নির্দেশনা পাবেন তখনই তিনি মামলা রেকর্ড করবেন।’
মামলার বাদী তার অভিযোগে বলেছেন, ‘১০ টাকার বিনিময়ে গ্রামীণ থেকে গ্রামীণ নম্বরে ৪০ মিনিট (প্রতি মিনিট ২৫ পয়সা) কথা বলার প্রলোভন দেখিয়ে ভ্যাটসহ আমার ১১ টাকা ৫০ পয়সা কেটে নেওয়া হয়। গ্রামীণফোন থেকে এসএমএস পাঠিয়ে আমার এসএমএস পাওয়ার স্বীকারোক্তিও জানানো হয়। অথচ আমি অফারটি ভোগ করতে পারিনি। এর আগেই আমার ব্যালেন্স শূন্য হয়ে যায়।
পরে গ্রামীণফোন কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কিছু করণীয় নেই বলে আমাকে জানায়। এভাবে জনগণের বিশ্বাস ভঙ্গ করায় জনস্বার্থে অভিযোগটি এনেছি। মামলাটি হলে এতে কোটি কোটি গ্রাহক প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।’